অ্যান্ড্রয়েড ফোন হ্যাক হয়েছে কীভাবে বুঝবেন? কীভাবে অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস সুরক্ষিত রাখবেন? | Techtunes


আসসালামু আলাইকুম। টেকটিউনস ওয়েবসাইটের নতুন আরো একটি টিউনে আপনাকে স্বাগতম। আমি স্বপন আছি আপনাদের সাথে, আশাকরি সকলেই অনেক অনেক ভালো আছেন। স্বাগতম সবাইকে অ্যান্ড্রয়েড ফোন হ্যাক হয়েছে কীভাবে বুঝবেন? কীভাবে অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস সুরক্ষিত রাখবেন? নিয়ে নতুন আরো একটি টিউনে। আপনি যদি আপনার হাতে থাকা অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি হ্যাক হয়েছে কিনা সেটি জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্যই। আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাদেরকে জানাবো যে- কীভাবে বুঝবেন যে আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি হ্যাক হয়েছে? আ্যন্ড্রয়েড ফোন হ্যাক হওয়ার লক্ষণ গুলো কী? কী? আ্যন্ড্রয়েড ফোন হ্যাক হওয়ার লক্ষণগুলোর প্রতিকারগুলো কী? কী? এবং সেই সাথে এমন একটি উপায় আপনাদের সাথে আজকে আমি এই আর্টিকেলে শেয়ার করব যেটি প্রয়োগের মাধ্যমে যদি আপনাদের অ্যান্ড্রয়েড ফোনে হ্যাকিং জনিত কোন সমস্যা থাকে সে সকল সমস্যা একবারেই সমাধান হয়ে যাবে।

শুরুতেই আমি আপনাদেরকে জানিয়ে দেই যে- আজকে আমি আপনাদের সাথে এই পুরো আর্টিকেল জুড়ে আ্যন্ড্রয়েড ফোন হ্যাকিং বিষয়ক যে যে বিষয়গুলো শেয়ার করব সেগুলো আমার নিজের পাঁচ বছরের ইথিক্যাল হ্যাকিং জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে নেওয়া। আমি আমার ইথিক্যাল হ্যাকিং জীবনে যা যা শিখেছি ও জেনেছি সে জ্ঞান থেকেই আপনাদের সাথে আজকে আমি এই পুরো আর্টিকেলে আলোচনা করব। তো চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক যে- কীভাবে বুঝবেন যে আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি হ্যাক হয়েছে? বা অ্যান্ড্রয়েড ফোন হ্যাক হওয়ার লক্ষণ গুলো কী? কী? এবং আ্যন্ড্রয়েড ফোন হ্যাকিং এর প্রতিকার গুলো কী কী?

১. অ্যান্ড্রয়েড ফোন অযথাই অতিরিক্ত গরম হওয়া

অ্যান্ড্রয়েড ফোন অতিরিক্ত ব্যবহার করলে বা অ্যান্ড্রয়েড ফোনে অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করলে অ্যান্ড্রয়েড ফোন গরম হবে এটি স্বাভাবিক। কিন্তু, আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি যদি অযথাই কোন কারণ ছাড়াই অতিরিক্ত গরম হয় তাহলে এ বিষয়ে এক্ষুনি সতর্ক হন। কারণ, আপনি হয়ত আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি ব্যবহার করছেন না কিন্তু হ্যাকার ঠিকই আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি ব্যবহার করছে, আর আ্যন্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার হলে সেটি গরমতো হবেই। এ হ্যাকিং প্রক্রিয়ায় মূলত হ্যাকার কোনোভাবে আপনার ফোনে তার একটি অ্যাপ ইন্সটল করে দেয়। আর সেই অ্যাপসটিই আপনার ফোনের ডাটা ইন্টারনেট কানেকশনের মাধ্যমে হ্যাকারের কাছে পাঠায়।

যখন আপনি আপনার ফোনে হ্যাকারের সেই অ্যাপসটি ইন্সটল করে রাখেন এবং কোন একটি পারমিশন দিয়ে রাখেন তখন সেই অ্যাপসটি আপনার ফোনের সেই পারমিশন দেওয়া জিনিসটির অ্যাক্সেস নিতে পারে। বিষয়টিকে ভালোভাবে বোঝার জন্য ছোট্ট একটি উদাহরণ দিলাম-

ধরুন আপনি ফ্রি ফায়ার হ্যাক খেলার জন্য কোন একটি অ্যাপস আপনার ফোনে ইন্সটল দিলেন। এবং সেই অ্যাপসটি আপনার কাছে থেকে কয়েকটি পারমিশন নিলো যেগুলো আপনি না বুঝেই এলাও করে দিলেন। এবার ধরুন সেই পারমিশনগুলোর মধ্যে একটি পারমিশন ছিল “মেমরি” (Storage) পারমিশন। এবার আপনার ফোনে যতক্ষণ সেই হ্যাকিং অ্যাপসটি ইন্সটল থাকবে ততক্ষণ আপনার ফোনের মেমোরির সকল কিছু সেই অ্যাপসটি দেখতে পাবে যেমন- মেমোরিতে থাকা ফটো, ভিডিও, অডিও ইত্যাদি। তাহলে এবার হয়ত বুঝতে পেরেছেন যে কীভাবে এই হ্যাকিং পদ্ধতিটি কাজ করে।

মূলত এইসব হ্যাকিং এটাকে ভিকটিম (যার ফোন হ্যাক করা হবে সে) কে কোনোরকম লোভ দেখিয়ে তার ফোনে সেই নির্দিষ্ট হ্যাকিং অ্যাপসটি দেওয়া হয়। যেমন ধরুন আপনি অনেক দিন ধরে ফ্রি ফায়ার হ্যাক খুঁজছেন আর তখন সেই হ্যাকার আপনাকে ফ্রি ফায়ার হ্যাক দেওয়ার লোভ দেখিয়ে সেই অ্যাপসটি আপনার ফোনে ইন্সটল করাবে। এছাড়াও এই হ্যাকিং এটাকে হ্যাকার আরো নানা ধরনের লোভ দেখিয়ে থাকেন যেমন- টাকা ইনকামের কোন অ্যাপ এর কথা বলে, ফটো এডিটিং করানো কোন অ্যাপের কথা, ইত্যাদি। বা এমনও হতে পারে যে আপনি কোন একটি সাধারণ অ্যাপ নামালেন কিন্তু সেটিতেও এ ধরনের হ্যাকিং সিস্টেম থাকতে পারে। তাহলে এবার আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে- অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জন্য নিরাপদ উপায়ে কীভাবে কোন অ্যাপ ইন্সটল করবেন?

আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জন্য কীভাবে নিরাপদ উপায়ে কোন অ্যাপ ইন্সটল করবেন সেটি জানার আগে চলুন জেনে নেওয়া যাক যে যদি আপনার ফোনে উক্ত হ্যাকিং লক্ষণটি মিলে যায় অর্থাৎ- আপনার ফোন যদি অযথাই কোন কারণ ছাড়াই গরম হয় তাহলে কীভাবে সেই হ্যাকিং থেকে আপনার ফোনটিকে বাঁচাবেন।

তো আপনার ফোনটিতে উক্ত হ্যাকিং লক্ষণটি রয়েছে মানে আপনার ফোনে কোন একটি বা একাধিক অ্যাপ ইন্সটল করা রয়েছে যেটি আপনার ফোনের ডাটা গুলো চুরি করছে। তো উক্ত সমস্যাটি সমাধান করতে আপনার ফোন থেকে এবার সেই অ্যাপস বা অ্যাপসগুলোকে আনইনস্টল করতে হবে। তবে তার আগে প্রশ্ন আসে যে- কীভাবে চিহ্নিত করবেন যে কোন অ্যাপস আপনার ফোনের ডাটা চুরি করছে? তো সেটি বোঝার জন্য নিজের কয়েকটি লক্ষণ আপনার ফোনে ইন্সটল থাকা প্রতিটি অ্যাপস এর সাথে মিলান। উল্লিখিত বিষয়গুলোর মধ্যে যদি কোন একটিও আপনার ফোনের কোন অ্যাপস এর সাথে মিলে যায় তাহলে বুঝবেন সেই অ্যাপসটির ঝামেলা রয়েছে এবং সঙ্গে সঙ্গে সেই অ্যাপসটি আপনার ফোন থেকে আনইন্সটল করুন। তো চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক সেই কী কী যা আপনার ফোনে ইনস্টল থাকা অ্যাপসগুলোর সাথে মিলে গেলে বুঝতে হবে যে সেই অ্যাপসটি আপনার ফোনে ডাটা চুরি করছে-

  1. অ্যাপসটি এমন পারমিশন নিয়ে রেখেছে যেটি তার প্রয়োজন নেই। অর্থাৎ- ধরুন একটি ক্যালকুলেটর অ্যাপস আপনার ফোনের ক্যামেরা পারমিশন নিয়ে রেখেছে যেটি তার কোন প্রয়োজন নেই। বা কোন একটি গেম আপনার ফোনের স্টোরেজ পারমিশন নিয়ে রেখেছে যেটি তার প্রয়োজন নেই।
  2. অ্যাপসটি কোন ইল্লিগ্যাল কাজ করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। অর্থাৎ- ধরুন অ্যাপসটি তৈরি করা হয়েছে কোন গেমকে হ্যাক করার জন্য, বা কোন ওয়াইফাই হ্যাক করার জন্য এরকম ইল্লিগ্যাল কোন কাজ। এই ধরনের প্রায় ৯৯% অ্যাপস এর মধ্যেই ব্যবহারকারীর ডাটা চুরি করার জন্য প্রোগ্রাম ডিজাইন করা থাকে।
  3. এমন অ্যাপস যেটির ডেভলপারের কোন নাম গন্ধ নেই। কখনোই এমন কোন অ্যাপস আপনার ফোনে ইন্সটল করবেন না যেটির ডেভলপারের মানে যিনি অ্যাপটি তৈরি করেছেন তার কোন নাম পরিচয় কিছুই নেই। মূলত এটি একটি বেআইনি কাজ তাই এটি সেই হ্যাকার গোপন ভাবে করে থাকেন আর এ কারণেই এ ধরনের অ্যাপসের মালিকের কোন খোঁজ খবর থাকে না। তাই এ ধরনের অ্যাপস আপনার ফোনে ইনস্টল আছে কিনা সেটি চেক করুন।

উপরে উল্লিখিত কোন একটি লক্ষণও যদি আপনার ফোনে ইন্সটল থাকা কোন অ্যাপস এর সাথে মিলে যায় তাহলে বুঝে ফেলুন যে সেই আপস টিতে ঝামেলা রয়েছে। এবার যদি আপনার ফোনে সেই অ্যাপস এর কোন প্রয়োজন থেকে থাকে তাহলে সেটি কোন এক্সপার্টকে দিয়ে চেক করান যে সেই অ্যাপসটি নিরাপদ কিনা। আর যদি সেই অ্যাপসটির আপনার ফোনে কোন প্রয়োজন না থাকে তাহলে এক্ষুনি সেটি আনইন্সটল করে দিন। আর সেই অ্যাপসটি আনইন্সটল হয়ে গেলেই আপনার ফোনটিও উক্ত হ্যাকিং থেকে রক্ষা পেয়ে যাবে।

তো চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক যে কীভাবে আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জন্য নিরাপদ উপায়ে কোন অ্যাপস ইন্সটল দিবেন? নিরাপদ উপায়ে আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জন্য কোন অ্যাপস ইনস্টল দিতে অ্যাপ ইন্সটল দেওয়ার সময় নিম্নে উল্লিখিত কয়েকটি বিষয় লক্ষ্য রাখুন-

  1. আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জন্য যখন কোন অ্যাপস ইনস্টল দিবেন তখন সেটি কোন বিশ্বস্ত ভেরিফাইড জায়গা থেকে দিন। যেখানে সেখানে থেকে আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জন্য কোন অ্যাপস ডাউনলোড করে তা ব্যবহার করবেন না। যেমন একটি বিশ্বস্ত অ্যাপ ডাউনলোডার প্লাটফর্ম হচ্ছে গুগল প্লে স্টোর।
  2. আপনি আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জন্য কোন বিশ্বাস তো জায়গা থেকে অ্যাপস ডাউনলোড করে ব্যবহার করছেন বলেই এটি নিশ্চিত নয় যে সেই অ্যাপসটি আপনার ফোনের জন্য বিপজ্জনক নয়। তাই অ্যাপস ইনস্টল দেওয়ার সময় অবশ্যই চেক করুন যে সেই অ্যাপসটি কোন ডেভেলপার এর তৈরি বা কোন কোম্পানি এর অ্যাপস। অবশ্যই কোনো বিশ্বস্ত কোম্পানির অ্যাপসই শুধু ব্যবহার করবেন। এমন কোন ডেভলপারের ডাউনলোড করা অ্যাপস আপনার ফোনে ইন্সটল দিবেন না যে ডেভলপারের কোন নাম গন্ধ ও নেই।
  3. আপনি যেই অ্যাপসটি ইন্সটল দিচ্ছেন সেটির পারমিশন চেক করুন। যদি দেখেন যে এমন কোন অ্যাপস আপনি আপনার ফোনে ইন্সটল দিচ্ছেন সেই অ্যাপসটি এমন একটি পারমিশন আপনার ফোন থেকে যাচ্ছে যেই পারমিশনের সেই অ্যাপসের কোন প্রয়োজনই নেই।

উপরে উল্লিখিত কয়েকটি বিষয় চেক করে আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনে কোন অ্যাপস ইনস্টল দিলে আশা করা যায় যে এর জন্য নিরাপদ কোন অ্যাপস ইনস্টল করেছেন।

২. অ্যান্ড্রয়েড ফোন অটোমেটিক কন্ট্রোল হওয়া

আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোন কী অটোমেটিক কন্ট্রোল হয়? তাহলে এক্ষুনি সাবধান হন। কারণ আপনার ফোনটি নিজে থেকে কন্ট্রোল হচ্ছে না এটিকে অন্য কেউ ইন্টারনেট সার্ভারের সাহায্যে অন্য জায়গা থেকে কন্ট্রোল করছে। মাঝেমধ্যে ফোনে অতিরিক্ত চাপ পড়ে গেলে সেটি হ্যাং করে আর তখন এক জায়গায় ক্লিক করলে সেই ক্লিকটি অনেক পরে প্রদর্শিত হয় তাই ফোন হ্যাং হলে সেটি আলাদা বিষয়। কিন্তু আপনার ফোন যদি কোন রকম কারণ ছাড়াই যেমন- আপনার ফোনে আপনি কোন চাপ প্রয়োগ করছেন না বা আপনি আপনার ফোনকে হেভি ইউজ করছেন না তারপরেও সেটি মনে হচ্ছে যে বারবার হ্যাং করে অটোমেটিক কন্ট্রোল হচ্ছে। তাহলে নিশ্চয়ই আপনার ফোনে কোন সমস্যা রয়েছে।

তো হতে পারে হ্যাকার কোন একটি সফটওয়্যার আপনার ফোনে ইন্সটল করে রেখেছে যেটি দ্বারা সে আপনার ফোনের সকল কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে। আর সে কারণেই যখন হ্যাকার আপনার ফোনে কোন কিছু করতে চাচ্ছে তখন সে যখনই অন্য জায়গা থেকে সেটির কমান্ড দিচ্ছে তখন সে সফটওয়্যারটি আপনার ফোনে সেই কাজটি করছে। তো আপনার ফোনও যদি মাঝেমধ্যেই অটোমেটিক কন্ট্রোল হয় তাহলে এক্ষুনি সতর্ক হোন। তো যদি দেখেন যে আপনার ফোনেও এমনটি সমস্যা রয়েছে তাহলে এবারের সমাধান কী?

এটির সমাধান করা ও প্রথম নিয়মের মতনই। মানে আপনার ফোনে যদি আজেবাজে কোন সফটওয়্যার থেকে থাকে যেটি সন্দেহজনক তাহলে সেই সফটওয়্যারটি আপনার ফোন থেকে এখনই আনইন্সটল করুন। সফটওয়্যারটি চেক করুন সেটি অপ্রয়োজনীয় কোন পারমিশন নিয়ে রেখেছে কিনা, সফটওয়্যারটি বিশ্বস্ত কিনা। তারপর যদি দেখেন যে সেই সফটওয়্যারটিতে ঝামেলা রয়েছে তাহলে এক্ষুনি সেই সফটওয়্যারটি আনইন্সটল করে দিন।

৩. অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপ কমে যাওয়া

হঠাৎ করেই কী আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপ কমে গিয়েছে? তাহলে হতেও পারে যে আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি হ্যাক হয়েছে। কারণ- পূর্বেই যেমনটি বলেছিলাম যে- হ্যাকার হয়ত আপনার ফোনে একটি সফটওয়্যার ইন্সটল করে দিয়েছে যে সফটওয়্যারটি আপনার অজান্তেই আপনার ফোনে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং সে সফটওয়্যারটি আপনার ফোনের ডাটা আপনার ফোন থেকে অন্য ফোনে পাঠাচ্ছে। আর কোন সফটওয়্যার যদি আপনার ফোনে ব্যবহৃত হয় মানে আপনার ফোনটি ব্যবহৃত হচ্ছে তাহলে আপনার ফোনের ব্যাটারি তো ফুরাবেই। যদি দেখেন যে আপনার ফোনটির ব্যাটারির ব্যাকআপ খুবই কমে গেছে হঠাৎ করেই তাহলে এ বিষয়ে সতর্ক হোন।

যদি আপনার ফোনে হঠাৎ করে ব্যাটারি ব্যাকআপ কমে যায় তাহলে সবার আগে চেক করেন যে আপনার ফোনেও কোন সন্দেহজনক সফটওয়্যার ইন্সটল করা রয়েছে কিনা। তারপর যদি কোন সন্দেহজনক সফটওয়্যার আপনার ফোনে থেকে থাকে তাহলে এক্ষুনি সেটি আনইন্সটল করুন। আর সেই সফটওয়্যারটি আনইন্সটল করতে পারলেই আপনার ফোনটিও হ্যাকারের হ্যাকিং অ্যাটাক থেকে বেঁচে যাবে। তারপরেও যদি দেখেন যে আপনার ফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপ ঠিক নেই তাহলে ফোনটি অবশ্যই কোন টেকনিশিয়ানকে দেখাবেন। আপনার ফোনটির সিস্টেমগত সমস্যার কারণে ও এমনটি হতে পারে।

৪. অ্যান্ড্রয়েড ফোনে কথা বলার সময় যদি শব্দ আসতে ও যেতে অসুবিধা হয়

যদি আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনে কথা বলার সময় দেখেন যে- শব্দ আসতে ও যেতে অসুবিধা হচ্ছে তাহলেও এখানে সতর্ক হোন। কারণ- কেউ যদি আপনার ফোনে এমন কোনো সফটওয়্যার ইনস্টল করে থাকে যেটি আপনার ফোনের প্রতিটা কল অন্য ফোনে পাঠাচ্ছে তাহলে এমনটি হতে পারে। কারণ- একে তো আপনি অন্য জনার সাথে ফোনে কথা বলছেন আবার অপরদিকে একটি সফটওয়্যার আপনাদের ভয়েসগুলোকে অন্য ফোনে পাঠাচ্ছে আর এ দুই প্রক্রিয়া করতেই ইন্টারনেটে চাপ পড়ছে যার কারণে কথা বলার সময় শব্দ আসতেও যেতে সমস্যা হচ্ছে। তবে শব্দ আসতে ও যেতে সমস্যা হচ্ছে বলেই যে আপনার ফোনটি হ্যাক হয়েছে তাও কিন্তু নই। কারণ- কথা বলার সময় নেটওয়ার্ক বা ইন্টারনেটের সমস্যার কারণেও এটি হতে পারে।

তাই এমন সমস্যা আপনার ফোনে দেখা দিলে সবার আগে আপনার নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেটের কানেকশন কেমন সেটি চেক করুন। তারপর যদি দেখেন যে আপনার ফোনের নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট কানেকশন ঠিক আছে তাহলে এবার আপনার ফোনটিকে চেক করুন। দেখুন যে আপনার ফোনে কোন ও নিরাপদ সফটওয়্যার ইন্সটল করা রয়েছে কিনা। যদি দেখেন যে আপনার ফোনে  অনিরাপদ বা সন্দেহজনক কোন সফটওয়্যার ইন্সটল করা রয়েছে তাহলে এক্ষুনি সেটি আনইন্সটল করুন। আর যদি আপনার ফোনে কোন বিপজ্জনক বা অনিরাপদ সফটওয়্যার না থাকে তাহলে হয়ত আপনার ফোনের মাইক্রোফোনে কোন সমস্যা হয়েছে তাই আপনার ফোনটি কোন টেকনিশিয়ানকে দেখান।

৫. অটোমেটিক অ্যান্ড্রয়েড ফোন রিস্টার্ট নেওয়া

আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোন কী অতিরিক্ত পরিমাণে অটোমেটিক রিস্টার্ট নিচ্ছে? তাহলে এক্ষুনি সতর্ক হোন। দেখুন, মাসে ২ থেকে ১ বার আ্যন্ড্রয়েড ফোন তার পারফরম্যান্স বৃদ্ধি করতে রিস্টার্ট নেই এটি স্বাভাবিক। কিন্তু, আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোন যদি অতিরিক্ত পরিমাণে ধরুন, সপ্তাহে ২ বার বা তারও বেশি পরিমাণে রিস্টার্ট নিচ্ছে তাহলে আপনার ফোনে নিশ্চয়ই কোন সমস্যা হয়েছে। এমনটি হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে এর মধ্যে একটি কারণ হলো- আপনার ফোনে কোন এমন সফটওয়্যার ইনস্টল রয়েছে যেটি আপনার ফোনকে ক্ষতি করছে। আর এই ধরনের সফটওয়্যারই মূলত হ্যাকারেরা তৈরি করে থাকে যেখানে ইউজারের ডাটা চুরি সহ তার ফোনকে ক্ষতি করতে পারে এ ধরনের প্রোগ্রাম করা হয়ে থাকে। আর সে কারণে ই আপনার ফোনের পারফরম্যান্স নষ্ট হচ্ছে যার ফলে আপনার ফোনটি অটোমেটিক রিস্টার্ট নিচ্ছে তার পারফরম্যান্স বৃদ্ধি করতে।

তাই আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে অটো রিস্টার্ট নেয় তাহলে এক্ষুনি সে বিষয়ে সতর্ক হোন। প্রথমে নিজেই চেক করুন আপনার ফোনে কোন নিরাপদ সফটওয়্যার ইনস্টল আছে কিনা। তারপর যদি আপনার ফোনে কোন নিরাপদ সফটওয়্যার পান তাহলে এক্ষুনি সেটি আনইন্সটল করুন। আর যদি দেখেন যে আপনার ফোনটি ভিতর থেকে ঠিক আছে তাহলে আপনার ফোনটিকে কোন টেকনিশিয়ান কে দেখান কারণ হতেও পারে আপনার ফোনে প্রযুক্তিগতভাবে কোন সমস্যা হয়েছে।

তো এতক্ষণ আমরা জানলাম যে- আ্যন্ড্রয়েড ফোন হ্যাক হওয়ার মূল ৫ টি লক্ষণ গুলো কী কী ও তার প্রতিকারগুলো কী কী। যদি আপনার আ্যন্ড্রয়েড ফোনেও এই পাঁচটি লক্ষণ মিলে যায় তাহলে এক্ষুনি সতর্ক হোন এবং সেটি সমাধানের ব্যবস্থা নিন। তো এইবার আমি আর্টিকেলের শুরুতেই আপনাদের যে ছোট্ট একটি ট্রিকস দিতে চেয়েছিলাম যে- আপনার ফোনের হ্যাকিং জনিত সকল সমস্যা এক বারেই যেভাবে সমাধান করবেন সেটি জানাবো। তো আপনি যদি আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি হ্যাক হওয়া নিয়ে চিন্তিত থাকেন এবং চান যে কোন ভাবে সেটি থেকে নিজের ফোনকে ফেরাতে কিন্তু কিছু বুঝে উঠতে না পারেন তাহলে এই ট্রিকসটি আপনি ফলো করবেন। তো চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক কী সেই ট্রিকস যেটি প্রয়োগ করলে একেবারেই আপনাদের অ্যান্ড্রয়েড ফোনের সকল হ্যাকিং জনিত সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।

অ্যান্ড্রয়েড ফোনের সকল হ্যাকিং জনিত সমস্যা একেবারেই সমাধান করার সহজ উপায়

অ্যান্ড্রয়েড ফোনের সকল হ্যাকিং জনিত সমস্যা একেবারেই এবং এক ক্লিকেই সমাধান করতে আপনার ফোনটিকে রিসেট (Reset) করুন। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন, আপনি যদি কোন কিছু বুঝে উঠতে না পারেন যে- আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি হ্যাক হয়েছে কিনা? বা যদি হ্যাক হয়েও থাকে তাহলে কীভাবে সেটি ফিরাবেন? কিন্তু আপনি চান যে- আপনার ফোনটি সম্পূর্ণরূপে নিরাপদ থাকুক এবং আপনার মনের সন্দেহ ও দূর হোক তাহলে এক্ষুনি আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনটিকে রিসেট (Reset)  করুন। তাহলেই আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি সম্পূর্ণভাবে নতুন পর্যায়ে ফিরে আসবে এবং যদি আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনে কোন হ্যাকিং জনিত সমস্যা থেকেও থাকে তাহলেও সেটি ঠিক হয়ে যাবে। এখানে আমি আর একটা বিষয় ক্লিয়ার করি-

রিসেট (Reset) বলতে বুঝানো হয়েছে- যেটি করলে আপনাদের অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি নতুন অবস্থায় যেমন ছিল সেরকম পর্যায় ফিরে আসে। এখানে অনেকেই বুঝতে পারে না তাই বিষয়টি ক্লিয়ার করলাম।

শেষ কথা

বর্তমানে দিন দিন মানুষের সব কিছুই মোবাইল ভিত্তিক হয়ে যাচ্ছে। আমাদের প্রায় সকল মানুষেরই এখন ব্যক্তিগত সকল ডাটাই আমাদের মোবাইলের মধ্যেই থাকে। আর সেজন্য আমাদের ডাটা চুরি করার জন্য হ্যাকারেরা ও সেভাবেই মাঠে নেমে পড়েছে। আপনি অনেক ভুল করবেন যদি এটি মনে করে থাকেন যে আমার ডাটা কে চুরি করবে? বা আমার ডাটা চুরি করে আরেকজনের কী লাভ?

দেখুন ইন্টারনেটে সবচেয়ে মূল্যবান জিনিস হচ্ছে কোন মানুষের ব্যক্তিগত ডাটা। এটির মূল্য এত যে- এটিকে ব্যবহার করে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করে তোলা হয়েছে।

তাই আপনি যতই অতি সাধারণ মানুষ হয়ে থাকুন কিনা, আপনাকে অবশ্যই অনলাইন নিরাপত্তার বিষয়ে সতর্ক হতেই হবে। আর এটি তো আপনি নিশ্চয়ই বুঝতেই পারছেন যে- যদি আপনার ফোনের কোন ডাটা অন্য কারো কাছে চলে যায় তাহলে আপনি কত বড় বিপদে পড়বেন। তাই সে বিষয়ে তো আর বোঝানোর প্রয়োজনই পরছেনা। তাই ইন্টারনেট ব্যবহারে সতর্ক হোন, অবশ্যই লোভনীয় জিনিস থেকে দূরে থাকুন। আর যে বিষয়ে বুঝতে পারেন না সে বিষয়ে নিজে থেকে কোন স্টেপ না নিয়ে কোন এক্সপার্ট থেকে পরামর্শ নিন।

তো বন্ধুরা, এই ছিল আমাদের আজকের টিউন, অ্যান্ড্রয়েড ফোন হ্যাক হয়েছে কীভাবে বুঝবেন? কীভাবে অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস সুরক্ষিত রাখবেন? আশাকরি টিউন টি আপনাদের একটু হলেও হেল্পফুল হবে। আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি, দেখা হবে পরবর্তী টিউনে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। ততক্ষণ অবধি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং টেকটিউনস এর সাথেই থাকবেন।



Source link

  • Related Posts

    ফিশিং আসলে কী? স্ক্যামাররা কত ধরনের ফিশিং টেকনিক ব্যবহার করে ফিশিং করে? | Techtunes

    আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন টেকটিউনস কমিউনিটি? আশা করছি সবাই ভাল আছেন। আজকে আবার হাজির হলাম নতুন টিউন নিয়ে। আজকে আমি অনলাইন নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করব। চলুন শুরু করা যাক। সাধারণ…

    যেভাবে যাচাই করবেন আপনার ফোনে ম্যালওয়্যার আছে কিনা! | Techtunes

    টেকটিউনস কমিউনিটি, কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভাল আছেন। বরাবরের মত চলে এসেছি নতুন কোন টিউন নিয়ে। শুরুর কথাঃ স্মার্টফোনের গুরুত্ব আসলে বলার অপেক্ষা রাখে না। অতিতে যে কাজ…

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *